হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ
রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলো দাম হয়ে যায় লাগামহীন। রোজার এক সপ্তাহ পর সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে মাছ-মাংসের বাজার চড়া। শনিবার (৮ মার্চ) টেকনাফ পৌর শহরের বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ষ্টেশন মোড়ের সবজি বিক্রেতা সলিম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। লেবুর দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৬০-৮০ টাকা ও টমেটোর কেজি ২০-৩০ টাকা। এছাড়া সব ধরনের সবজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদা কেজি ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা দরে। চিনি দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। তবে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের সংকট এখনো আছে।
সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম কমেনি মাছ-মাংসের। মুরগি কেজি প্রতি ব্রয়লার ২০০-২২০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালী ৩৩০ টাকা, দেশি ৬৬০ টাকা ও হাঁস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চড়া আছে গরুর মাংসের বাজারও। রোজার শুরু থেকে ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজা শুরু আগে মাংসের কেজি ছিল ৭৫০-৮০০ টাকা। রোজার শুরু থেকে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতি কেজি ৮০০-৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা ও ৫ লিটারের একটি বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা।
মাছের বাজার চড়া। এদিন মাঝারি আকারের রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ৩০০ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি কুরাল ৭০০ টাকা, বড় কুরাল ১০০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে, ছোট ইলিশ ৭০০-১০০০ টাকা, বড় ইলিশ ১৫০০-২০০০ টাকা, সাদা রূপচাঁদা ৮০০-১০০০ টাকা, কালো রূপচাঁদা ১০০০-১৫০০ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকারভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ছোটমাছ ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০-৭০০টাকা, গলদা ৭০০-৮০০ টাকা’ এবং বাগদা ৮০০’ থেকে ১২০০’ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজার করতে আসা এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আমরা যারা ভালো বেতনের চাকরি করি বর্তমান নিত্যপণের যে বাজার তা সামান্য সমস্যা হলেও আমাদের চলে যাচ্ছে, যা সহনীয়। তবে যারা নিম্নআয়ের মানুষ তারা এমন বাজার দরেও অস্তিত্বে আছেন।