ভোলা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত এক নয়নাভিরাম চর, যার নাম চর কুকরি মুকরি।মিনি সুন্দরবন নামে পরিচিত কুকরি-মুকরির বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন।
দ্বীপটির মনোরম সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও,বিদ্যুৎ না থাকায় এখানে রাত্রিযাপন ছিল খুবই কষ্টকর।বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের মধ্যে ভোলার চর কুকরি-মুকরি একটি। এখানে নেই শহরের মতো কোলাহল, নেই যানবাহনের বিকট শব্দ, শুধু আছে মানুষের ভালোবাসা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুকরি-মুকরি বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। ভোলার মূল ভূখন্ড থেকে বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে দুর্গম এই জনপদকে। ফলে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি,ছোটখাটো শিল্প-কারখানা তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কুকরি-মুকরির মানুষ।নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত করা হয়েছে এই জনপদকে। এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ।
এ নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র, যা থেকে সরকার আয় করতে পারে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।বিদ্যুৎ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু না হলেও, আগেই ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ হয়েও তারা এখন শহরের মতো সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।