বুধবার সিলেট জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যায়নি, কিছু নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও অবিরাম বর্ষণে জেলার সব নদীই কানায় কানায় পূর্ণ। বিশেষ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে, প্রায় এক লাখ মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নিলয় সাহা বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ার খবর পাচ্ছি।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয় ও আসাম জেলায় অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সৈয়দ আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে ২০ মে ও ২১ মে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম অবশ্য জানান, স্থানীয় প্রশাসন বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে এবং খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।