ধূমপানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস। এতে হার্ট অ্যাটাক, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ, এমফাইসিমা, ও ক্যান্সার বিশেষত ফুসফুস, ল্যারিংস, মুখগহ্বর ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘকাল ধূমপানের ফলে সার্বিক গড়ায়ু অধূমপায়ীদের তুলনায় ১০ বছর থেকে ১৭.৯ বছর পর্যন্ত হ্রাস পায়। দীর্ঘকালব্যাপী ধূমপায়ী পুরুষদের প্রায় অর্ধাংশ ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে। ধূমপানের সাথে ফুসফুস ক্যান্সারের একটি বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। পুরুষ ধূমপায়ীর ক্ষেত্রে সারাজীবনে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৭.২% যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি ১১.৬%। অধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেক কম যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে ১.৩% মহিলার ক্ষেত্রে ১.৪%। ঐতিহাসিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ফুসফুস ক্যান্সারকে বিরল একটি রোগ হিসেবে মনে করা হত এবং এমনও বলা হত যে কোনো কোনো চিকিৎসক তার পেশাগত জীবনে হয়ত এই রোগীর দেখাই পাবেন না। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সিগারেট ধূমপানের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং ফুসফুস ক্যান্সার ধীরে ধীরে মহামারী রূপ নিতে শুরু করে।
একজন ব্যক্তির রোগে আক্রান্ত ঝুঁকি সেই ব্যক্তি কতদিন ধরে ও দৈনিক কতটি ধূমপান করে তার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক। তবে কেউ যদি ধূমপান পরিত্যাগ করে তবে ঝুঁকি ক্রমশ কমে আসে কারণ মানব শরীর ধূমপানজনিত ক্ষতি ধীরে ধীরে মেরামত করে নিতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করার একবছর পরে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যারা ধূমপান চালিয়ে যায় তাদের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমে যায়। সকল ধূমপায়ীর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি সমান নয়। ঝুঁকি নির্ভর করে কতটুকু তামাক সেবন করা হচ্ছে তার উপর। যারা বেশি ধূমপান করবে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকবে। তথাকথিত লাইট সিগারেট ঝুঁকি কমাতে সহায়ক নয়। (তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া )